চাকরি দেওয়ার বদলে চাকরি খেয়ে নিচ্ছে বিজেপি । এরকমই মন্তব্য করলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফারাক্কায় একটি গণনির্বাচনের লোকসভায় গিয়ে। তার মতে,” বিজেপি হলো চাকরি খেকো, খেয়ে নিয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি! এদেরকেই তো ভোট দেবেন আপনারা? রাজ্য সরকার আরো দশ লক্ষ চাকরি প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। আর চাকরি দিতে গেলেই এরা কোন ভুয়া এজেন্সি দিয়ে চাকরি বাতিল করাবে, আগেও করিয়েছে।”
মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায় একটি জনসভায় এরকমই বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরো জানান, বাংলায় জেতার জন্য সিপিএম ও কংগ্রেস জোট বেঁধেছে। আপেক্ষিক ভাবে এরা জিতলেই জিতবে বিজেপি দল। দয়া করে আপনারা বাংলায় বিজেপিকে আসতে দেবেন না। আপনারা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন। কেননা তৃণমূল যত বেশি ভোট পাবে, বিজেপিকে এই রাজ্য ছাড়া করতে তাদের ততো সুবিধা হবে।
পাশাপাশি তিনি দোষারোপ করেছেন নির্বাচন কমিশনকেও। কেননা যেদিন প্রথম দফার ভোট হলো এবং দ্বিতীয় দফার ভোট হলো, কোন দল কত ভোটে কার থেকে এগিয়ে রয়েছে তার সমস্ত খবর মিডিয়া জনসমক্ষে প্রচার করেছিল। কিন্তু সেই দিন রাত সাড়ে নটার সময় হঠাৎ খবর পেলাম যেখানে বিজেপি ৫.৭৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, কি ভাবে হঠাৎ করে সেই ভোটের সংখ্যা বেড়ে গেল? জবাব দেবে তো নির্বাচন কমিশন?
ওনার বক্তব্য, নির্বাচন কমিশন ভোটের যাবতীয় তথ্যগুলি পরিষ্কারভাবে জনসম্মুখে আনুক। প্রথম দফায় কটা ভোট কোন দল পেয়েছে? দ্বিতীয় দফায় কত পেয়েছে? সমস্ত নির্বাচনী কেন্দ্রগুলি থেকে মোট কটি ব্যালাট বাক্স হারিয়েছে সমস্ত প্রশ্নে জবাব দিহী করবে নির্বাচন কমিশন। বিজেপি শাসিত অঞ্চলগুলিতে বিজেপি নেতারা ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারণ মানুষের ভোট চুরি করে অবৈধভাবে তাদের দলের ভোট পাল্টে দিচ্ছেন। সমস্ত রকম লুকোচুরি দ্বন্দ্বের হিসেব পরিস্কার করুক নির্বাচন কমিশন, এটাই বলতে চেয়েছেন তিনি।