বিরোধীরা যতই হল্লা করুক এজেন্সি রাজ নিয়ে, সরকারের কড়া অ্যাকশন চলবেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিলেন লোকসভা ভোটের মুখে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘দুর্নীতি সমাজের সব স্তরের মানুষের উপর প্রভাব ফেলে। আর সেটা রুখতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
সংশ্লিষ্ট ওই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এদিন বললেন, “দুর্নীতি খতম করাটাই আমাদের সরকারের ১০ বছরের প্রাধান্য ছিল। আমি এখনও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।” প্রধানমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, দুর্নীতি যখনই হয়, সেটা প্রভাব ফেলে গোটা সমাজের উপর। এর কুপ্রভাব পড়ে গোটা দেশের উপর। যারা সাধারণ মানুষের হকের টাকা চুরি করে, অ্যাকশন চলবে তাঁদের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রীর এদিন স্পষ্ট বলেন, তাঁর সরকারের ফেরা নিয়ে কোনো সংশয় নেই ২০২৪-এ। আর তিনি ফিরলে ছাড় পাবে না কোনও দুর্নীতিবাজ।
উল্লেখ্য, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই মুহূর্তে জেলে। একই দশা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনেরও। একাধিক মামলা চলছে গোটা লালু প্রসাদ যাদবের পরিবারের বিরুদ্ধে। হেরাল্ড তদন্ত চলছে কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধেও। বিরোধীদের মতে, এসবই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। সব দুর্নীতির অভিযোগ মুছে যায় বিজেপিতে যোগ দিলেই। কিন্তু এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে মোদি বলেন, “দুর্নীতিবাজদের ছাড় দেওয়া হবে না। যারা যারা এই দুর্নীতির সিস্টেমে উপকৃত, শুধু তাঁরাই হল্লা করছে। মানুষের কাছে ভুল বার্তা তুলে ধরার চেষ্টা করছে।”