রাজ্য জুরে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজগুলিতে ইতিমধ্যে গরমের ছুটি পড়েছে। কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই ছুটির ঘোষণা করে দিয়েছে আর কোন কোন প্রতিষ্ঠান হয়তো করবে। সেকালে গরমে ছুটে পড়লে বাচ্চাদের কাছে মামাবাড়ি পিসি বাড়ি মাসে বাড়ি বেশ প্রিয় ছিল, ছুটি পড়তে পড়তেই এক নিমেষে মামাবাড়ি পৌঁছে যাওয়ার আনন্দ টা অন্য মাত্রা ছিল। কিন্তু বর্তমান যুগে সবকিছুই পরিবর্তন হয়েছে, পছন্দের জায়গায় পরিবর্তন হয়েছে বাচ্চাদের পছন্দতেও। তারা এখন আর এখন মামা বাড়ি বা মাসির বাড়ি যেতে পছন্দ করে না গরমের মুহূর্তেই তাদের কাছে প্রিয় স্থান হল পাহাড়ী এলাকা।
চলুন তাহলে বাড়ি ছোট সদস্যদের ছোট্ট ইচ্ছা পূরণ করার পালা। এই গরমে আপনি কোথায় কোথায় যেতে পারেন এবং ছোটখাটো একটা ট্যুর সহজেই করতে পারেন তা আমরা নিচে আলোচনা করছি। –
দার্জিলিং – পাহাড়ি এলাকার রানী হল দার্জিলিং পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই ছোট্ট শহরটিতে মূল আকর্ষণ হলো টয়ট্রেন। কয় ট্রেনে করে চড়ে প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন দার্জিলিং এর মনোমুগ্ধ পরিবেশ দর্শন করতে পারবেন পাশাপাশি থাকছে শৈল শহরের ম্যালে ভ্রমণ, চায়ের কাপে চুমুক, টাইগার হিলের উপর সূর্যোদয় এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার রাজকীয় চেহারা। কয়েকদিনে টুর করতে আপনার প্রায় ১০ থেকে ১১ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে।
নৈনিতাল – দিল্লির কাছে বিখ্যাত এই ছোট্ট শহরটি সামার ভ্যাকেশন এর জন্য কোন অংশে কম যায় না। তাই গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে চট করে সন্তানকে নিয়ে এই জায়গাটি ঘুরে আসতে পারেন। ঘুরতে যেতে পারেন নৈনি লেক এবং ভোটিং করতে পারেন, দর্শন করতে পারেন নয়না দেবী মন্দির। এছাড়া ছোটদের জন্য একাধিক পসরা আকারে অনেক দোকান পর পর সাজানো রয়েছে।
শিমলা – এই মারাত্মক গরম আবহাওয়ায় অবসর কারণের জন্য শিমলা বিশেষ বিখ্যাত। গরমের তাপ থেকে নিস্তার পেতে মে জুন মাসে আপনার বাড়ি খুদে কে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন শিমলায়। গ্রীষ্ম অবকাশ করাতে শিমলার জুড়ি মেলা ভার, এখানেই ঘুরতে গেলে আপনি অবশ্যই সিমলার মল রোড, দ্য রিজ, কুফরি, চাইল দেখে আসবেন। দিল্লি থেকে ৮ বা ৯ ঘন্টার দূরত্বে অবস্থিত শিমলা যেতে আপনার প্রায় নয় থেকে দশ হাজার টাকা অব্দি খরচ করতে পারে।